বিনোদন ডেস্ক: ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহ বাংলাদেশের সিনেমা দর্শকদের ছেড়ে অনন্তলোকে চলে গেছেন। দিন গুনতে গুনতে ১৮ বছর পার হয়ে গেল।...
বিনোদন ডেস্ক: ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহ বাংলাদেশের সিনেমা দর্শকদের ছেড়ে অনন্তলোকে চলে গেছেন। দিন গুনতে গুনতে ১৮ বছর পার হয়ে গেল। তাকে নিয়ে অনেক স্মৃতি ক্ষয়ে ক্ষয়ে ধূসর হয়ে গেছে। তবু বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একসময়ের রোমান্টিক যুবরাজ আজও বেঁচে আছেন দর্শকের মনোজগতে। কী এমন রসসম্ভার ছিল সালমান শাহর অভিনয়কলায়? কী এমন বৈচিত্র্য ও আকর্ষণ ছিল তার দেহসজ্জায়, যার সামগ্রিক আবেদন কিশোর-কিশোরীদের নরম মনে টানটান অনুভূতির প্লাবন বইয়ে দিযয়েছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সালমান শাহ অভিনীত ২৬টি চলচ্চিত্র পাঠই যথেষ্ট। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ মাত্র চার বছর ছিল তার অভিনয় জীবন। এই স্বল্প সময়ে সালমান শাহর প্রাপ্তি ছিল আকাশচুম্বী। সালমান শাহ (শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন) সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭০ সালে। সোহানুর রহমান সোহানের পরিচালনায় কেয়ামত থেকে কেয়ামত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ দর্শকের সামনে আসেন। চার বছরের অভিনয় জীবনে তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র কেয়ামত থেকে কেয়ামত, অন্তরে অন্তরে, বিক্ষোভ, স্বপ্নের ঠিকানা, দেনমোহর, তোমাকে চাই, সত্যের মৃত্যু নেই, মায়ের অধিকার, আনন্দ অশ্রু প্রভৃতি। সালমান শাহ অভিনীত সর্বাধিক চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন শিবলি সাদিক। মৌসুমীর সঙ্গে ছিল সালমান শাহর প্রথম জুটি বাঁধা। চরম সাফল্যের সম্ভাবনা থাকলেও এই জুটির চলচ্চিত্র মাত্র চারটি। শাবনূরের সঙ্গে সালমানের চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১৪, সালমান শাহ ছিলেন যৌবন বাউলশিল্পী। নিজের সত্তাকে স্বেচ্ছায় পরিবর্তন করা শিল্পী। সামগ্রিক অর্থে দ্যুতিময় এক শিল্পীর নাম সালমান শাহ।
COMMENTS