ডেস্ক রিপোর্ট: পর্যাপ্ত অবকাঠামো সুবিধা না থাকা সত্ত্বেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর দিয়ে আবারো ট্রানজিট সুবিধা নিচ্ছে ভারত। পশ্চিমবঙ্...
ডেস্ক রিপোর্ট: পর্যাপ্ত অবকাঠামো সুবিধা না থাকা সত্ত্বেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর দিয়ে আবারো ট্রানজিট সুবিধা নিচ্ছে ভারত।
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল নেয়ার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন চাল নিয়ে পাঁচটি জাহাজ নোঙ্গর করেছে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরে। প্রতিদিনই প্রায় ২৫/৩০টি কাভার্ডভ্যান করে চাল যাচ্ছে ভারতে। তবে নদীবন্দরের কোনরকম অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজ না করে এই চাল নেয়ায় ক্ষুব্ধ বন্দর ব্যবহারকারীরা।Brahm02 উন্নয়ন ছাড়াই ট্রানজিট সুবিধা নিচ্ছে ভারত উন্নয়ন ছাড়াই ট্রানজিট সুবিধা নিচ্ছে ভারত Brahm02পণ্য খালাশের জন্য বন্দরে রয়েছে ছোট দুটি জেটি। এর একটির মধ্যে ভারতের চাল অপরটিতে বাংলাদেশ খাদ্য অধিদপ্তরের ধান খালাস করা হচ্ছে। এতে করে বন্দরের ব্যবসায়ীদের পণ্য লোড-আনলোড করা ব্যহত হচ্ছে।
অপরদিকে বন্দরের দ্রুত অবকাঠামোর উন্নয়নের দাবি ও স্থানীয় ট্রাক ব্যবহার না করে অন্য এলাকার কাভার্ডভ্যান করে ভারতীয় চাল পরিবহন করায় এখানকার ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনার পর ১৯৭২ সালের নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় বিনা শুল্কে ১০ হাজার টন খাদ্যপণ্য ত্রিপুরা নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম দফায় পাঁচ হাজার টন চাল কলকাতার ডায়মন্ড হারবার পোর্ট থেকে ৫ আগস্ট বিকেলে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে নোঙ্গর করে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ৩৫০ কিলোমিটার জলপথ, ৪৫ কিলোমিটার সড়ক পথ, আশুগঞ্জ নৌবন্দর ও আখাউড়া স্থলবন্দর ব্যবহার করে এ চাল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে।
চার বছর আগে সরকার আশুগঞ্জকে নৌ-বন্দর ঘোষণা করলেও বন্দরের অবকাঠামোর তেমন কোনো উন্নয়ন করা ছাড়াই ভারত যাচ্ছে এসব চাল। বন্দরে নিরাপত্তা বেষ্টনি, ট্রাকস্ট্যান্ড, গুদাম, বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যালয় না থাকায় বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
অন্যদিকে, জেটিতে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিরও বেহাল অবস্থা। এই রাস্তাটির উপর দিয়ে চালবোঝাই কাভার্ডভ্যান ও পণ্যবাহী ভারী যানবাহন মহাসড়কে উঠতে হয়। তাছাড়া সঠিক তদারকির অভাবে গাড়িগুলি এলামেলোভাবে রাখা হচ্ছে। এতে করে কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক চালকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ট্রাক চালক রহিছ মিয়া জানান, রাস্তাঘাটের যে অবস্থা তাতে করে স্বাভাবিকভাবেই ট্রাক চালানো যায়না। এখন আবার ভারতীয় চাল নেয়া হবে। রাস্তার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ আশুগঞ্জ নদী বন্দরের পরিদর্শক মো. শাহালম বাংলামেইলকে বলেন, ‘বন্দরের অবকাঠামোর সার্বিক উন্নয়ন না হলেও বন্দরের নিরাপত্তা বেষ্টনি, ওয়্যার হাউজ, পার্কিং ইয়ার্ড, নির্মাণের কাজ খুব শিগগিরই সম্পন্ন হবে। বন্দরের অবকাঠামো সুবিধা না থাকায় খোলা আকাশের নিচে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। অচিরেই বন্দরের নির্মাণ কাজ শেষ হবে এবং রাস্তা ঘাটেরও সংস্কার হবে।’
আশুগঞ্জ শহর শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন ইপ্টি বলেন, ‘এই নৌবন্দরে যে ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকা দরকার তার কিছুই নেই। ভারতীয় চাল এই পুরাতন বন্দর দিয়ে যাওয়ার কারণে বন্দরের অন্যান্য পণ্য সামগ্রী লোড-আনলোড করা ব্যাহত হচ্ছে। ধার ও চাল বোঝাই নৌকাগুলি বর্তমান জেটিতে ভিড়তে পারছে না। এ কারণে আশুগঞ্জের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয় শ্রমিকদের কাজের পরিমাণ কমে গেছে। তাই তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে স্বারকলিপি দিয়েছে।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার সিংহ স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের অসন্তোষের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্বারকলিপি দেন। আমরা বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা করছি।’
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল নেয়ার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন চাল নিয়ে পাঁচটি জাহাজ নোঙ্গর করেছে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরে। প্রতিদিনই প্রায় ২৫/৩০টি কাভার্ডভ্যান করে চাল যাচ্ছে ভারতে। তবে নদীবন্দরের কোনরকম অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজ না করে এই চাল নেয়ায় ক্ষুব্ধ বন্দর ব্যবহারকারীরা।Brahm02 উন্নয়ন ছাড়াই ট্রানজিট সুবিধা নিচ্ছে ভারত উন্নয়ন ছাড়াই ট্রানজিট সুবিধা নিচ্ছে ভারত Brahm02পণ্য খালাশের জন্য বন্দরে রয়েছে ছোট দুটি জেটি। এর একটির মধ্যে ভারতের চাল অপরটিতে বাংলাদেশ খাদ্য অধিদপ্তরের ধান খালাস করা হচ্ছে। এতে করে বন্দরের ব্যবসায়ীদের পণ্য লোড-আনলোড করা ব্যহত হচ্ছে।
অপরদিকে বন্দরের দ্রুত অবকাঠামোর উন্নয়নের দাবি ও স্থানীয় ট্রাক ব্যবহার না করে অন্য এলাকার কাভার্ডভ্যান করে ভারতীয় চাল পরিবহন করায় এখানকার ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনার পর ১৯৭২ সালের নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় বিনা শুল্কে ১০ হাজার টন খাদ্যপণ্য ত্রিপুরা নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম দফায় পাঁচ হাজার টন চাল কলকাতার ডায়মন্ড হারবার পোর্ট থেকে ৫ আগস্ট বিকেলে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে নোঙ্গর করে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ৩৫০ কিলোমিটার জলপথ, ৪৫ কিলোমিটার সড়ক পথ, আশুগঞ্জ নৌবন্দর ও আখাউড়া স্থলবন্দর ব্যবহার করে এ চাল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে।
চার বছর আগে সরকার আশুগঞ্জকে নৌ-বন্দর ঘোষণা করলেও বন্দরের অবকাঠামোর তেমন কোনো উন্নয়ন করা ছাড়াই ভারত যাচ্ছে এসব চাল। বন্দরে নিরাপত্তা বেষ্টনি, ট্রাকস্ট্যান্ড, গুদাম, বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যালয় না থাকায় বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
অন্যদিকে, জেটিতে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিরও বেহাল অবস্থা। এই রাস্তাটির উপর দিয়ে চালবোঝাই কাভার্ডভ্যান ও পণ্যবাহী ভারী যানবাহন মহাসড়কে উঠতে হয়। তাছাড়া সঠিক তদারকির অভাবে গাড়িগুলি এলামেলোভাবে রাখা হচ্ছে। এতে করে কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক চালকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ট্রাক চালক রহিছ মিয়া জানান, রাস্তাঘাটের যে অবস্থা তাতে করে স্বাভাবিকভাবেই ট্রাক চালানো যায়না। এখন আবার ভারতীয় চাল নেয়া হবে। রাস্তার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ আশুগঞ্জ নদী বন্দরের পরিদর্শক মো. শাহালম বাংলামেইলকে বলেন, ‘বন্দরের অবকাঠামোর সার্বিক উন্নয়ন না হলেও বন্দরের নিরাপত্তা বেষ্টনি, ওয়্যার হাউজ, পার্কিং ইয়ার্ড, নির্মাণের কাজ খুব শিগগিরই সম্পন্ন হবে। বন্দরের অবকাঠামো সুবিধা না থাকায় খোলা আকাশের নিচে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। অচিরেই বন্দরের নির্মাণ কাজ শেষ হবে এবং রাস্তা ঘাটেরও সংস্কার হবে।’
আশুগঞ্জ শহর শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন ইপ্টি বলেন, ‘এই নৌবন্দরে যে ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকা দরকার তার কিছুই নেই। ভারতীয় চাল এই পুরাতন বন্দর দিয়ে যাওয়ার কারণে বন্দরের অন্যান্য পণ্য সামগ্রী লোড-আনলোড করা ব্যাহত হচ্ছে। ধার ও চাল বোঝাই নৌকাগুলি বর্তমান জেটিতে ভিড়তে পারছে না। এ কারণে আশুগঞ্জের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয় শ্রমিকদের কাজের পরিমাণ কমে গেছে। তাই তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে স্বারকলিপি দিয়েছে।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার সিংহ স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের অসন্তোষের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্বারকলিপি দেন। আমরা বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা করছি।’
COMMENTS