সুনামগঞ্জের যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান মুজিব অপহরণের সাড়ে তিন মাস পর ফিরে আসার ঘটনায় ব্যাপক রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার গ...
সুনামগঞ্জের যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান মুজিব অপহরণের সাড়ে তিন মাস পর ফিরে আসার ঘটনায় ব্যাপক রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার গাজীপুরের টঙ্গী থেকে তিনি উদ্ধার হয়েছেন বলে দাবি স্বজনদের। পরে নিজেই গুলশানে শ্যালকের বাড়িতে গাড়িচালক সোহেলকে নিয়ে পৌঁছান।
এরপর চিকিৎসা নিয়েছেন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে। ফিরে আসার পর স্বজন ও পুলিশের কাছে মুজিব দাবি করেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তাকে তুলে নেয়া হয়েছিল। তারপর অন্ধকার একটি ঘরে চোখ বেধে আটকে রাখা হয় তাকে।
অপহরণকারীরা মুজিবুরকে মারধরও করেছেন। সোমবার সেই অপহরণকারীরাই আবার চোখ বেঁধে টঙ্গীতে রেখে যায় তাকে। তবে কারা অপহরণ করেছেন, কেন অপহরণ করেছে এবং এতো দিন পর কেনইবা ছেড়ে দিয়েছে- এমন অনেক প্রশ্নের জবাব মেলেনি মুজিবুরের দেয়া তথ্যে। মুজিবুরের দাবি তার কাছে ১২ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল অপহরণকারীরা।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা ও সহকর্মীরা বলছেন, নিখোঁজ পরবর্তী নানা ঘটনা, তথ্য উপাত্য বিশ্লেষণ, বৃটিশ পুলিশের তথ্য, টঙ্গী থেকে শ্যালকের বাসায় ফিরে ‘দীর্ঘক্ষণের ঘুম’ এবং সর্বশেষ ইউনাইটেডে ভর্তির পর পুলিশকে ঘটনাটি জানানো অত্যন্ত রহস্যজনক।
সুনামগঞ্জের জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বাংলামেইলকে বলেন, ‘আপাতত মুজিবের কথাবার্তায় গরমিল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলতে না পারায় এই ‘নিখোঁজ রহস্যের জট খুলছে না।’
মুজিবুরের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত গণমাধ্যমে জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
জানা গেছে, সুনামগঞ্জের অ্যাডিশনাল এসপি হেমায়েতুল ইসলামসহ ছয় জন পুলিশের একটি দল ঢাকায় এসে মুজিবুরকে তাদের হেফাজতে নিয়েছেন। হেমায়েতুল ইসলাম জানিয়েছেন, মুজিব এখন অনেকটা সুস্থ। দ্রুত তাকে আদালতে হাজির করে জবানবন্দি নেয়া হবে।
চোখ বেঁধে চলে নির্যাতন: গতকাল হাসপাতালে গিয়ে মুজিবের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলা যায়নি। পুলিশের প্রহরা এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়মের কারণে সাংবাদিকরা বাইরেই অপেক্ষা করেন। তবে সেখানে মুজিবুর রহমানের সঙ্গে অল্প সময় কথা বলে এবং তার শ্যালক ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেনের বর্ণনায় অপহরণের ব্যাপারে অনেক তথ্য জানা গেছে।
মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, সোমবার ফজরের আজানের সময় তাকে ঘুম থেকে জাগানো হয়। এরপর মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে হাত-পা ভালো করে বাঁধা হয়। চোখ সারাক্ষণ বাঁধাই থাকত। পরে বোরখা পরিয়ে তাকে গোপন আস্তানা থেকে বের করে অপহরণকারীরা।
মুজিবুর বলেন, ‘সুনামগঞ্জের টোকের বাজারে পুলিশের পোশাক পরা লোকজন আমাকে তাদের গাড়িতে তুলে নেয়। কিছু সময় গাড়ি চলার পর প্রশাসনের লোকের একজন বলেন, গাড়িতে দুর্গন্ধ, এয়ার ফ্রেশনার (সুগন্ধি) স্প্রে করো। আরেকজন সেই সুগন্ধি স্প্রে করার ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ডের মধ্যেই আমি জ্ঞান (চেতনা) হারিয়ে ফেলি।’
মুজিবুরের ভাষায়, জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর তিনি বুঝতে পারেন তাকে একটি অন্ধকার ঘরের মেঝেতে শুইয়ে রাখা হয়েছে। চোখ কাপড় দিয়ে বাঁধা। হাতে হাতকড়া পরানো, পা বাঁধা। সেইসঙ্গে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাথা। ভয় পেয়ে তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করলে বুটজুতা পরা কেউ একজন তাকে লাথি দেয়। পরে ভয়ে তিনি আর চিৎকার করেননি। তখন পাশের কোনো মসজিদ থেকে আজানের শব্দ ভেসে আসছিল। তা থেকে মজিবুরের অনুমান, তাকে ধরার পর ৭/৮ ঘণ্টা পার হয়েছে।
‘‘অপহরণের দুই বা তিনদিন পর আমার বাম হাতের নখ প্লাস জাতীয় কিছু দিয়ে তুলে ফেলা হয়। তখন প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছি। তবে রমজান মাসে আমার সঙ্গে তারা ভালো ব্যবহার করেছে। আঘাতের স্থানগুলোতে মলম লাগিয়ে দিয়েছে।’’
মজিবুর বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই মাঝেমধ্যে কোনো কারণ ছাড়াই তারা আমাকে মারধর করেছে। রাবার জাতীয় কোনো লাঠি দিয়ে তারা আঘাত করতো। এর ফলে প্রচণ্ড আঘাত লাগলেও কোথাও কেটে যায়নি বা হাড় ভাঙ্গেনি। অপহরণের দুই বা তিনদিন পর আমার বাম হাতের নখ প্লাস জাতীয় কিছু দিয়ে তুলে ফেলা হয়। তখন প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছি। তবে রমজান মাসে আমার সঙ্গে তারা ভালো ব্যবহার করেছে। আঘাতের স্থানগুলোয় মলম লাগিয়ে দিয়েছে।’
তিনি জানান, অপহরণকারীরা তার কাছে ১২ কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল। জবাবে তিনি বলেছেন, এতো টাকা তার পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। মুক্ত হওয়ার পর শুনেছেন, তার ছেলে রিপন মিয়ার কাছেও ফোন করে টাকা দাবি করা হয়েছে।
বেশ কয়েকবার টাকা চাওয়া হলেও সেটাই অপহরণের মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করছেন না মুজিবুর।
মুজিবুর জানান, সোমবার চোখ বাঁধা অবস্থায় গাড়িতে তোলার পর আনুমানিক এক থেকে দেড় ঘণ্টা চলেছিল গাড়িটি। পরে এক স্থানে তাকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়ার পর হাতের বাঁধন খুলে দেয়া হয়। ১০ মিনিট চোখে বাঁধা কাপড় না খোলারও নির্দেশ দিয়েছিল অপহরণকারীরা।
পরে চোখ খুলে তিনি দেখেন, গাড়িচালক সোহেলও তার পাশেই পড়ে আছেন। তার পকেটে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা দেয়া ছিল। তবে তার ঘড়ি ও ডেবিট/ ক্রেডিট কার্ড ফিরে পাননি।
মুজিবুরের শ্যালক ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন জানান, সোমবার সকালে তিনি যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় আসেন। বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে গাড়িতে থাকতেই তিনি খবর পান ভগ্নিপতি, বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান মুজিব ও তার গাড়িচালক সোহেল তার গুলশানের বাসায় পৌঁছেছেন। তখন সময় দুপুর ১২টা। এরপর আনোয়ার হোসেন সরাসরি বাসায় যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন জীর্ণ-শীর্ণ দেহে মুজিব ও সোহেল দুজন শুয়ে আছেন বিছানায়। তাদেরকে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এক নজরে মুজিবুর ‘অপহরণ’
|
আনোয়ার আরও জানান, এরপর তিনিই বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে গুলশান জোনের একজন সহকারী কমিশনারের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন পুলিশ সাদা পোশাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে যান। এ সময় ডাক্তারদের অনুমতি নিয়ে গুলশান জোনের ওই পুলিশ কর্মকর্তা কথা বলেন মুজিবুর রহমানের সঙ্গে।
পুলিশের সঙ্গে কথা ও স্বজনদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, গত ৪ মে বিকেলে সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট ফেরার পথে সিলেট শহরতলির টুকের বাজার এলাকায় তাকে বহনকারী গাড়িটির গতিরোধ করে একটি মাইক্রোবাস। ওই গাড়িতে বসা ছিল ৮/১০ জন লোক। তারা নিজেদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোক পরিচয় দেন। প্রথমে তারা গাড়িচালক সোহেলের লাইসেন্স দেখতে চান। এরপর দুজনকে গাড়ি থেকে নামতে বলেন। গাড়ি থেকে নামার পরই পাশেরই মাইক্রোবাসে উঠতে বলা হয় মুজিব ও সোহেলকে। এ সময় মুজিব ও সোহেল ধস্তাধস্তির চেষ্টা করলে অপহরণকারীরা অস্ত্র বের করে তাদের মাথায় ঠেকায় ও গুলি করার হুমকি দিয়ে গাড়িতে তুলে নেয়।
মুজিবুরের কাছে জানতে চাইলে তিনি আরও জানান, অপহরণকারীদের আচরণ ও কথার ধরণ দেখে তার ধারণা হয়েছে, তারা কোনো প্রশিক্ষত বাহিনীর সদস্য হতে পারেন। তবে অপহরণকারীরা তাকে কেন তুলে নিয়েছিল- এমন প্রশ্ন করা হলে মুজিবুরের স্বজনরা ছিলেন নির্বাক। তারা দাবি করছেন, এসব ব্যাপারে মুজিবুরের সঙ্গে তাদের কথা হয়নি।
পুলিশের গুলশান জোনের উপকমিশনার লুৎফুর কবির বাংলামেইলকে জানান, বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমানকে পুলিশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তিনি সুস্থ হলে তিন মাস কোথায় ছিলেন, কারা তাকে অপহরণ করেছিল এ ব্যাপারে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মুজিবুরের স্বাস্থ্যের অবস্থা: ইউনাইটেড হাসপাতালে গিয়ে জানা গেছে, চিকিৎসাধীন মুজিবুর রহমান এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। হাসপাতালটির ক্লিনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর মাহিন আজিম বলেন, তার (মুজিব) অবস্থা সম্পর্কে এখই বলা যাচ্ছে না। হাসপাতালে তাঁর বেশ কিছু স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। চিকিতৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। তিনি আরও জানান, মুজিবুর দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও কিছুটা কম। তবে তাঁর কথাবার্তা স্বাভাবিক।
গাড়ি চালক সোহেলের খোঁজ নেই: মুজিব ও তার গাড়ি চালক সোহেলের ‘মুক্তি’র পর থেকেই সুনামগঞ্জ উকিলপাড়ায় গাড়ি চালকের বাসায় পুলিশ টহল দিচ্ছে। তবে তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ জানান, তার ছেলে এখনো বাড়ি ফেরেনি।
মুজিবের শ্যালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অপহরণকারীরা সকালে টঙ্গীতে ভগ্নিপতি ও গাড়ি চালক সোহেলকে ফেলে যায়। মুজিবুরকে হাসপাতালে ভর্তির আগে সোহেলকে এক হাজার টাকা দিয়ে সুনামগঞ্জে আসার জন্য পাঠিয়ে দেন তিনি।
সোহেলের বাবা আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, ‘সকালে মুজিবের সন্ধানের খবর পেয়েই তার ভাতিজা আবুল হোসেন ও ভগ্নিপতি রবিউল ঢাকায় চলে যান। সন্ধ্যায় তারা ঢাকায় পৌঁছে আমাকে জানিয়েছেন সোহেলকে এক হাজার টাকা দিয়ে সুনামগঞ্জে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেমায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘আমরাও জানি সোহেলকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। এর বেশি কিছুই জানি না।’
মুজিবুরকে ঘিরে অনেক রহস্য: পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য যুক্তরাজ্য যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমানে যুক্তরাজ্য বিএনপির উপদেষ্টা মুজিবুর রহমান মুজিব গত ৪ মে সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট যাওয়ার পথে সিলেট শহরতলির টুকের বাজার থেকে অপহৃত হন। তাকে বহনকারী গাড়ি ও চালকসহ নিখোঁজ হন তিনি। ঘটনার দুইদিন পর ৬ মে তার ভগ্নিপতি রবিউল ইসলাম সুনামগঞ্জ থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে হরতাল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
পরে রবিউল ইসলাম থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ থেকে আলাদা অভিযান চালিয়ে পৃথক সময়ে ছয় সন্দেহভাজনকে আটক করে পুলিশ। নিখোঁজের পর তাকে উদ্ধারে গিয়ে পুলিশ তার অন্ধকার জীবন সম্পর্কে নানা তথ্য পায়।
এক পর্যায়ে মাফিয়া চক্রের সঙ্গেও তার সংশ্লিষ্টতা আলোচনায় আসে। নানা বিষয় নিয়ে মে মাসে বৃটিশ পুলিশ তিনবার সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে মুজিব সম্পর্কে নানা তথ্য দেয়। তাছাড়া নিখোঁজের পর তার উচ্চ প্রযুক্তির মোবাইল ফোন বিভিন্ন স্থানে অল্প সময়ের জন্য চালু ছিল। এই চালু মোবাইলে লন্ডন থেকে বার্তা আসতো বলেও জানিয়েছিল তদন্তকারী দল। অপহরণের চারদিন পর তার লন্ডনের বাসায় একটি রহস্যজনক চিরকুট যায়। কেন, কারা অপহরণ করেছে সে বিষয় উল্লেখ না থাকলেও এই চিরকুটে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেমায়েতুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ ও ফিরে আসার দাবিটি রহস্যজনক। এ ব্যাপারে মুজিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সুস্থ হলে তাকে আদালতে নিয়ে জবানবন্দি গ্রহন করা হবে।
মুজিবুর রহমান মুজিব ও তার গাড়ি চালক সোহেল টঙ্গী ব্রিজ এলাকা থেকে উদ্ধারের বিষয়ে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন কিছুই জানেন না। টঙ্গী ব্রিজ সংলগ্ন ওভারব্রিজের পশ্চিম পাশের চা বিক্রেতা আলাল মিয়া (৫০) জানান, ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চা বিক্রি করেন তিনি। এ ধরনের কিছু দেখেননি, শোনেননিও। তবে সোমবার রাতে টঙ্গী থানার পুলিশ এসে এ ধরনের কিছু ঘটেছে কি না জানতে চায়।
টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘মুজিবুর রহমান মুজিব ও তার গাড়িচালক সোহেল উদ্ধারের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। সোমবার রাতে টেলিভিশনের খবর ও গণমাধ্যমের কর্মীদের কাছ থেকে জানতে পেরে টঙ্গী ব্রিজের দুই পাশে খোঁজ নেই।’
গাজীপুরের পুলিশ সুপার আবদুল বাতেন বলেন, ‘নিখোঁজ বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান ও তার চালক উদ্ধারের বিষয়ে জেলা পুলিশ অবগত নয়। সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে শুনেছি তাঁকে টঙ্গীর ব্রিজের উত্তর পাশের সেনা কল্যাণ ভবনের সামনে ফেলে গিয়েছিল অজ্ঞাতরা।’
(বাংলামেইল)
COMMENTS