মো.মিজানুর রহমান টিপু ,বরগুনা প্রতিনিধি: স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ছয় বছরের শিশু মো.জয়নাল আবেদীন খান এখন বরগুনার বামনা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে...
মো.মিজানুর রহমান টিপু ,বরগুনা প্রতিনিধি:
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ছয় বছরের শিশু মো.জয়নাল আবেদীন খান এখন বরগুনার বামনা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বর্তমান কমান্ডার। উপজেলার বুকাবুনিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৯৭৮ সালের পঞ্চম শ্রেণীর ভর্তি রেজিস্টার অনুযায়ী জয়নাল আবেদীন খানের জন্ম তারিখ ১৯৬৫ সালের ৬ এপ্রিল। সে হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল প্রায় ৬ বছর।
অনুসন্ধানে জানাযায়, বামনা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গোলাম সত্তার সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর বরাবর বর্তমান কমান্ডার মো.জয়নাল আবেদীন খানের বিরুদ্ধে আবেদন করেন। আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, বামনা উপজেলার ছোট যাদবপুড়া গ্রামের আ.আজিজ খাঁনের ছেলে মো.জয়নাল আবেদীন খানের বুকাবুনিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৯৭৮ সালের পঞ্চম শ্রেণীর ভর্তি রেজিস্টার অনুযায়ী জম্ম তারিখ ১৯৬৫ সালের ৬ এপ্রিল।
সে অনুযায়ী ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল ছয় বছর। সে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয়। তাই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা মো.জয়নাল আবেদীন খানের বিরুদ্ধে আবেদনে বরগুনা- ২ আসনের সংসদ সদস্য মো.শওকত হাচানুর রহমান রিমন এবং বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো.আবদুর রশীদ তদন্তপূর্বক মন্ত্রী মহোদয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপ সচিব) মো.জহুরুল ইসলাম রোহেল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা মো.জয়নাল আবেদীন খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সরজমিনে তদন্ত করে জরুরি ভিত্তিতে মতামত সহ প্রতিবেদন প্রেরণ করার জন্য বরগুনা জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেন। বরগুনা জেলা প্রশাসক এ বিষয় তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রেরণ করার জন্য বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আলমগীর হোসেন কে নির্দেশ দেন। আবেদন পত্রের সঙ্গে বুকাবুনিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র রয়েছে। সেই প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখ কয়েছে মো.জয়নাল আবেদীন খান বুকাবুনিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৯৭৮ সালে ৫ম শ্রেণীতে ভর্তি হয়।
বিদ্যালয়ের ভর্তি রেজিস্টার অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৬৫ সালের ৬ ই এপ্রিল। ভর্তি রেজিস্টারের সিরিয়াল নম্বর ৫০, ভর্তির তারিখ ১৯৭৮ সালের ১৫ ই ফেব্রুয়ারী। অন্যদিকে উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম সনদ অনুযায়ী মো.জয়নাল আবেদীন খানের জন্ম তারিখ ১৯৬৫ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী (জন্ম নিবন্ধন নম্বর ১৯৬৫০৪১১৯৪৭০০০২৫৪), নিবন্ধনের তারিখ ২০০৭ সালের ৩১ শে জুলাই, নিবন্ধন বই নং ৪।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আলমগীর হোসেন বলেন,“গত ১৪ ই আগস্ট তদনেÍর নির্দেশ পেয়েছি। তদন্তের কাজ চলছে এবং তা শেষ পর্যায়ে। নির্বাচন কমিশন এবং জন্ম নিবন্ধন নিয়ে জটিলতা আছে। তবে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে”।
বামনা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বর্তমান কমান্ডার মো.জয়নাল আবেদীন খান দাবী করেন, “আমার জন্ম তারিখ ১৯৫৬ সালের ১ লা ফেব্রুয়ারী। আমি স্বাধীনতা যুদ্ধের ৯নং সাব সেক্টর বুকাবুনিয়া মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। ১৯৭১ সালে ২৩ নভেম্বর বামনা থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে উপস্তিত ছিলাম”।
তবে যুদ্ধের ৯নং সাব সেক্টর বুকাবুনিয়ার যুদ্ধকালীন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মো.আবদুল মজিদ মিয়া বলেন, “বামনা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বর্তমান কমান্ডার মো.জয়নাল আবেদীন খান আমার অধীনে মুক্তিযোদ্ধা ছিল না । সে কোথায় মুক্তিযুদ্ধ করেছে এবং কোথায় মুক্তিযোদ্ধা সনদ পেয়েছে তা আমার জানা নেই”।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ছয় বছরের শিশু মো.জয়নাল আবেদীন খান এখন বরগুনার বামনা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বর্তমান কমান্ডার। উপজেলার বুকাবুনিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৯৭৮ সালের পঞ্চম শ্রেণীর ভর্তি রেজিস্টার অনুযায়ী জয়নাল আবেদীন খানের জন্ম তারিখ ১৯৬৫ সালের ৬ এপ্রিল। সে হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল প্রায় ৬ বছর।
অনুসন্ধানে জানাযায়, বামনা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গোলাম সত্তার সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর বরাবর বর্তমান কমান্ডার মো.জয়নাল আবেদীন খানের বিরুদ্ধে আবেদন করেন। আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, বামনা উপজেলার ছোট যাদবপুড়া গ্রামের আ.আজিজ খাঁনের ছেলে মো.জয়নাল আবেদীন খানের বুকাবুনিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৯৭৮ সালের পঞ্চম শ্রেণীর ভর্তি রেজিস্টার অনুযায়ী জম্ম তারিখ ১৯৬৫ সালের ৬ এপ্রিল।
সে অনুযায়ী ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল ছয় বছর। সে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয়। তাই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা মো.জয়নাল আবেদীন খানের বিরুদ্ধে আবেদনে বরগুনা- ২ আসনের সংসদ সদস্য মো.শওকত হাচানুর রহমান রিমন এবং বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো.আবদুর রশীদ তদন্তপূর্বক মন্ত্রী মহোদয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপ সচিব) মো.জহুরুল ইসলাম রোহেল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা মো.জয়নাল আবেদীন খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সরজমিনে তদন্ত করে জরুরি ভিত্তিতে মতামত সহ প্রতিবেদন প্রেরণ করার জন্য বরগুনা জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেন। বরগুনা জেলা প্রশাসক এ বিষয় তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রেরণ করার জন্য বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আলমগীর হোসেন কে নির্দেশ দেন। আবেদন পত্রের সঙ্গে বুকাবুনিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র রয়েছে। সেই প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখ কয়েছে মো.জয়নাল আবেদীন খান বুকাবুনিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৯৭৮ সালে ৫ম শ্রেণীতে ভর্তি হয়।
বিদ্যালয়ের ভর্তি রেজিস্টার অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৬৫ সালের ৬ ই এপ্রিল। ভর্তি রেজিস্টারের সিরিয়াল নম্বর ৫০, ভর্তির তারিখ ১৯৭৮ সালের ১৫ ই ফেব্রুয়ারী। অন্যদিকে উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম সনদ অনুযায়ী মো.জয়নাল আবেদীন খানের জন্ম তারিখ ১৯৬৫ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী (জন্ম নিবন্ধন নম্বর ১৯৬৫০৪১১৯৪৭০০০২৫৪), নিবন্ধনের তারিখ ২০০৭ সালের ৩১ শে জুলাই, নিবন্ধন বই নং ৪।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আলমগীর হোসেন বলেন,“গত ১৪ ই আগস্ট তদনেÍর নির্দেশ পেয়েছি। তদন্তের কাজ চলছে এবং তা শেষ পর্যায়ে। নির্বাচন কমিশন এবং জন্ম নিবন্ধন নিয়ে জটিলতা আছে। তবে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে”।
বামনা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বর্তমান কমান্ডার মো.জয়নাল আবেদীন খান দাবী করেন, “আমার জন্ম তারিখ ১৯৫৬ সালের ১ লা ফেব্রুয়ারী। আমি স্বাধীনতা যুদ্ধের ৯নং সাব সেক্টর বুকাবুনিয়া মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। ১৯৭১ সালে ২৩ নভেম্বর বামনা থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে উপস্তিত ছিলাম”।
তবে যুদ্ধের ৯নং সাব সেক্টর বুকাবুনিয়ার যুদ্ধকালীন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মো.আবদুল মজিদ মিয়া বলেন, “বামনা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বর্তমান কমান্ডার মো.জয়নাল আবেদীন খান আমার অধীনে মুক্তিযোদ্ধা ছিল না । সে কোথায় মুক্তিযুদ্ধ করেছে এবং কোথায় মুক্তিযোদ্ধা সনদ পেয়েছে তা আমার জানা নেই”।
COMMENTS